জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগে রংপুরবাসী

রংপুর মহানগরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরীর কামারপাড়া, মুলাটোল, বাবুখাঁ, গুড়াতিপাড়া, গনেশপুর, সেনপাড়া, কেরানীপাড়া, সাতগাড়া মিস্ত্রিপাড়া, হাবিবনগর, ধাপ হাজীপাড়া, আমাশু, কুকরুল, জুম্মাপাড়া, সিটি বাজারসহ বিভিন্ন এলাকার পাড়া-মহল্লাতে পানি জমেছে । রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা জানান, জলাবদ্ধতা স্থায়ী নয়। কমে যাবে জলাবদ্ধতা। নিরসন হবে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের। আর যে সব এলাকায় স্থায়ী জলাবদ্ধতা রয়েছে,সেখানে জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে রংপুর সিটি কর্পোরেশন।


এ কারণে অনেক জায়গায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ একটু বেশি বেড়েছে। টানা খরা ও অনাবৃষ্টির পর অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি পেয়েছে রংপুরবাসী। বহু প্রত্যাশিত ভাদ্রের এই বৃষ্টির কারণে কৃষকের মুখে হাসি ফুটলেও জেলার বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চলে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। বেড়েছে খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ। সবমিলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। কয়েক ঘণ্টার বর্ষণে নগরীর বেশির ভাগ পাড়া-মহল্লায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। নিচু এলাকাগুলো এখন হাঁটুপানিতে নিমজ্জিত। কোথাও কোথাও ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানি জমে আছে। এতে দুর্ভোগ বেড়েছে সাধারণ মানুষের। 

গত দুইদিন ধরে টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে উত্তরাঞ্চলের রংপুর বিভাগের নীলফামারীসহ আট জেলার সকল নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি ও টানা বর্ষণের কারণে এসব জেলার বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। মাঠ-ঘাট ও আবাদী জমিগুলো তলিয়ে গেছে। এছাড়া টানা বৃষ্টিতে কাঁচা সড়কগুলো ধসে পড়ছে।


নগরে প্রায় ৫০ হাজার রিকশা ও ব্যাটারিচালিত আটোরিকশা আছে। লাইসেন্স ছাড়াও রয়েছে অনেক। সেই সঙ্গে আশপাশের উপজেলা থেকে আসা রিকশা ও অটোরিকশাও প্রবেশ করে নগরে।প্যানেল মেয়র গোলাম কবির বলেন, এমনিতেই সড়কে কাজ চলছে। তার ওপর নগরের প্রধান বিপণিবিতানগুলোতে যেতে প্রধান সড়ক হলো একটিই। এর ফলে নগরবাসী দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে।



আরও সংবাদ দেখুন


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম