প্রাচীনকাল থেকে শাস্তি দেওয়ার নানারকম নিষ্ঠুর প্রথা ছিল তবে যদি এমন শোনেন জীবন্ত মানুষ সমাধি দেয়ার প্রচলন ছিল বিভিন্ন যুগে তখন কেমন বোধ করবেন? জি সত্যিই শুনছেন প্রাচীন ভিন্ন ভিন্ন যুগে এমন স্বাস্থ্যের প্রথা ছিল সে সময় কালে। জীবন্ত সমাধির দেয়ার প্রচলন সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় তৎকালীন রুমে, এই পদ্ধতিকে বলা হয় “এমিউজমেন্ট” সেসময় দেবী রাস্তায় যেসব নারীরা থাকতেন তারা ছিলেন কুমারী সারাজীবন তাদের কুমারী থাকতে হতো দেবে সেবা করার জন্য। এই কুমারের সন্ন্যাসী দের বলা হতো ভেজটাল ভার্জিন এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ছিল ভেসতার মন্দিরে চিরস্থায়ী আগুন কে রক্ষা করা যে আগুন শহরটির সুরক্ষায় প্রতিনিধিত্ব করত, পবিত্র শিখা নিভে যাওকে ভয়াভহ অশুভ কাজ হিসেবে বিবেচনা করা হতো, ভেজটাল ভার্জিনদের ভালো-মন্দ দেখার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল।
এসবের জন্য অনেক সুযোগ সুবিধা পেতেন সেসব কুমারিকা তবে কেউ নিজের কর্তব্যে অবহেলা করলে ভয়াবহ শাস্তি পেতেন। নিজের সতীত্ব ব্রত ভাঙ্গা একজন ভেজতা সন্ন্যাসিনীর জন্য ছিল গুরুতর অপরাধ এ কারণে সতীত্বের প্রতিরক্ষার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতেন তারা। সে কারণে যদি কেউ সেই প্রতিজ্ঞা ভাঙলেন তার প্রায়শ্চিত্ত করতে হতো তার জীবন দিয়ে, সতিত্ত ভাঙ্গা ভেজটাল ভার্জিনদের একস্থানে আঁটকে রাখা হত, তবে এদের মধ্যে কেউ যদি সতীত্বহারা তেন তাহলে তিনি যে শুধু দেবের সেবা করা থেকে বাদ পড়তেন তা নয় তার জন্য ছিল কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা। ইমিওরেমেন্টের মাধ্যমে তাদের শাস্তি দেয়া হতো।
ইমিওরেমেন্টের মাধ্যমে শাস্তি প্রাপ্ত নারী একটি ছোট্ট বাক্সে বন্দী থাকতেন, পানি ও খাবারের অভাবে মারা জেতেন তারা, আবার জীবিত কবর দেয়ার কারণে অনেকে শ্বাসকষ্টে মারা যেতেন, রোমে দেবী সেবায় নিয়োজিত কোন নারীর সতীত্ব হারালে কি বলে ছিল তবে ইমেজ বা জীবিত সময় দেয়ার রীতি ছিল অনেক দেশেই কোথাও মৃত্যুরে ভয়ংকর রূপ ব্যবহার করত মানব বলি দিতে অথবা অপরাধীদের জন্য। প্রাচীন রোম থেকে মোঙ্গলদের মধ্যে ছড়িয়ে ছিল এই কঠিন শাস্তির রীতি, তবে তারা দাসদের জীবন্ত সমাধি দিত, কোন মুনিব মারা গেলে তার দাসদাসিদেরও তার সঙ্গে জীবন্ত সমাধি দেওয়ার প্রচলন ছিল, অনেক সময় দাস বা দাসিকে সমাধি দেওয়ার আগে হত্যা করা হতো।
তারা বিশ্বাস করতেন মৃত্যুর পরেরও যেন মনিবের সেবা করতে পারে সেই দাসদাসি গুলো। ভারতবর্ষেও এই জীবন্ত সমাধি দেয়ার উদাহরণ পাওয়া যায় যেটাকে ইতিহাস জানে সতীদাহ প্রথা নামে সে সময় কোন নারীর স্বামী মারা গেলে তার সাথে জীবন্ত চিতায় পড়তে হতো স্ত্রীদেরও। ইনকা সভ্যতা ও কুমারী মেয়েদের এভাবে বলে দেয়ার ঘটনাও বিভিন্ন সময় আলোচনায় এসেছে জীবিত অবস্থায় কুমারী মেয়েদের দেবো তার জন্য উৎসর্গ করে তাদের নির্জন গুহা একা রেখে আসা খাবার পানির অভাবে কিছুদিনের মধ্যে সেখানে মারা যেত উৎসর্গ ক্রিত সেই কুমারিরা, বিংশ শতাব্দীতে এসে চিলি এবং আর্জেন্টিনা সীমান্ত অঞ্চল একসময় ইনকা সাম্রাজ্যের অন্তর্গত ছিল সেখানে সেই শিশুদের মমি পাওয়া যায়। ইতিহাসে এমন অনেক নির্মম হত্যার শাস্তি হয়েছে যুগ যুগ ধরে বাড়িতে এসে জীবন্ত সমাধি গুলো।