প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় এ নিয়ে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। এই তিনজন হলেন আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের টেকনিশিয়ান ল্যাব সহকারী পারভেজ মিয়া, আহসানিয়া প্রিন্টিং প্রেসের অফিস সহায়ক (পিয়ন) দেলোয়ার হোসেন ও কাটিং মাস্টার রবিউল আওয়াল।
আদালত তাঁদের জবানবন্দি গ্রহণ করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগের (ডিবি) উপকমিশনার ওয়াহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার তিনজন জবানবন্দি দিতে রাজি হলে তাঁদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে পাঠানো হয়। এ নিয়ে পাঁচজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক এবং দুজন পরীক্ষার্থী সাক্ষী হিসেবে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
সেদিনই প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে এবং ডিবি ঘটনার ছায়া তদন্ত করে। ৬ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীন পাঁচটি সরকারি ব্যাংকের ১ হাজার ৫১১টি ‘অফিসার ক্যাশ’ শূন্য পদের নিয়োগ পরীক্ষা বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়।
পরে তিনি ল্যাব সহকারী পারভেজ মিয়ার হাতে প্রশ্নপত্র তুলে দেন। ডিবি পুলিশ জানায়, পিয়ন দেলোয়ার পরীক্ষার আগে প্রেসের কাটিং মাস্টার রবিউলকে প্রশ্নপত্র বের করার অনুরোধ করেন। ওই সময় তাঁর সঙ্গে আহছানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের টেকনিশিয়ান মোক্তারুজ্জামানও ছিলেন। প্রশ্নপত্র ফাঁস করে দেলোয়ার ও রবিউল ৪৪ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে পেয়েছেন। তিনিও এখন গ্রেপ্তার আছেন। চক্রের সদস্যরা এর আগেও চারবার ব্যাংকে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছেন।
ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, আহছানউল্লাহর কর্মীদের যোগসাজশে কয়েকটি ব্যাংকের কর্মকর্তারা ব্যাংকে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত।