নির্বাচন কমিশন অকার্যকর করল আফগানিস্তানে তালেবান



নির্বাচন কমিশনকে অকার্যকর করে দিয়েছে আফগানিস্তানের তালেবান। কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে তালেবান সরকারের একজন মুখপাত্র এ তথ্য জানিয়েছেন বলে। এ কমিশনের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতো পশ্চিমা সমর্থিত প্রশাসনের অধীনে আফগানিস্তানে। তালেবান সরকারের মুখপাত্র বিলাল কারিমি শনিবার বলেছেন স্বাধীন নির্বাচন কমিশন (আইইসি) ও স্বাধীন নির্বাচনী অভিযোগ কমিশনের প্রসঙ্গে, ‘প্রয়োজন নেই এ ধরনের কমিশন থাকা ও কর্মকাণ্ড পরিচালনার কোনো। প্রয়োজন মনে করি আমরা যদি, পুনরুজ্জীবিত করবে ইসলামিক আমিরাত এ কমিশনকে।’





আরও বলেছেন কারিমি, এ সপ্তাহে দুটি মন্ত্রণালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সরকারের আরও। শান্তিবিষয়ক ও সংসদবিষয়ক সেগুলো হলো। এর আগে নারীবিষয়ক মন্ত্রণালয় তালেবান বন্ধ করে দেয়।

গত ১৫ আগস্ট পশ্চিমা–সমর্থিত সরকারকে সরিয়ে আফগানিস্তানের তালেবান বাহিনী ক্ষমতা দখল করে। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৬ সালে আইইসি গঠন হয়। এ সংস্থার বাধ্যবাধকতা ছিল এবং সব ধরনের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করত নির্বাচন পরিচালনার।








 সংস্থার প্রধান আওরঙ্গজের এএফপিকে বলেন গত সরকারের পতনের আগপর্যন্ত থাকা এ, ‘এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা তাড়াহুড়া করে...এবং ব্যাপক পরিণতি ডেকে আনবে কমিশনকে অকার্যকর করা । আমি শতভাগ নিশ্চিত আফগানিস্তানের এ সংস্থা না থাকলে সমস্যার সমাধান কখনো হবে না। কোনো দিন কোনো নির্বাচনও হবে না। সদ্য ক্ষমতাচ্যুত জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ হালিম ফিদাই বলেন সরকারের একজন, তালেবান গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না এ সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের বিরোধী তারা সব। তারা বুলেটের জোরে ক্ষমতায় এসেছে, ব্যালটে ভর করে নয়। চারটি প্রদেশের গভর্নর ছিলেন ফাইদি গত ২০ বছরে। তালেবান ক্ষমতায় আসার আগে নির্বাচন কর্মকর্তা সশস্ত্র বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।





আরো পড়ুন


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম