এ ঘাটতি ফ্রীদায় 22 ভাগ করে নিয়ে আমরা সবাই ভাগ করে নিব তাতে দিনে এক থেকে দুই ঘন্টা লোডশেডিং হতে পারে। রাশিয়াও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধ ও বৈশ্বিক জ্বালানি তেলের বাজারে যে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে তার আজ পড়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাদ যায়নি বাংলাদেশের। এই সঙ্কট মোকাবিলায় মঙ্গলবার থেকে সারাদেশে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শুরুর কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী এরইমধ্যে জ্বালানি তেলের লোকসান কমাতে ডিজেল চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলোতে উৎপাদন স্থগিত করা হয়েছে। লোডশেডিং কি? লোডশেডিং কিভাবে জ্বালানি নিরাপত্তা সুরক্ষিত করবে? এ নিয়ে আজকের আলোচনা
লোডশেডিং কি? সাধারনত কিছুক্ষণের জন্য বিদ্যুৎ চলে গেলে তাকে আমরা লোডশেডিং বলি। জ্বালানি সংশ্লিষ্টদের কাছে লোডশেডিং হল চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হওয়ায় কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রেখে অন্যান্য এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রাখা। এছাড়া বৈরী আবহাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নষ্ট হওয়া সহ নানা কারণে লোডশেডিং হতে পারে তবে সাধারনত পরিকল্পিতভাবে লোডশেডিং করা হয়ে থাকে। ধরা যাক 50 মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র থেকে একটি শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। ভোল্টেজ স্টেপ আপ করার পরে বিদ্যুৎ সঞ্চালন করা হয় এটি আবার বিতরণ করার জন্য একটি সাবস্টেশন থাকে যেখান থেকে শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ বিতরণ করা হয় আবার ধরা যাক সাবস্টেশনের যতটুকু ভোল্টেজ আসে তা 11 কিলোভোল্ট এর step-down করতে হয়। সেই 11 কিলোভোল্ট এর আবার আলাদা আলাদা ব্রেকার ওর ফিডার লাগানো থাকে একটি ফিডার থেকে নির্দিষ্ট একটি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এরকম প্রত্যেক এলাকার জন্য আলাদা আলাদা ফিডার ও ব্রেকার থাকেন। 50 মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে যখন কোনো সাব-স্টেশনের লোড বেশি হয়ে যায় তখন ব্রেকার নিজে নিজে বন্ধ হয়ে যায় আর তখনই লোডশেডিং এর প্রয়োজন পরে।
যখন লোডশেডিং এর প্রয়োজন হয় তখন ফিডার ব্যবহার করে লোডশেডিং দেয়া হয়। সাধারণত যে এলাকায় বিদ্যুৎ না দিলেই নয় যেমন শিল্প-কারখানা সেসব অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার জন্য ফিডার বন্ধ করা হয়। ধরা যাক যে 50 ভাগ লোক রয়েছে তা অতি প্রয়োজনীয় এলাকায় দেয়া হয়েছে বাকি যে 50 ভাগ লোক থাকবে তা আলাদা আলাদা জায়গায় সরবরাহ করা হয়। যে এলাকাগুলো বাকি থাকবে সেগুলো তো ফিডার অফ থাকবে, কয়েক ঘন্টা পর যে এলাকাগুলো এতক্ষণ বিদ্যুৎ পেয়েছে সেগুলো ফিডার বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং যে এলাকাগুলো বিদ্যুৎ পায়নি সে এলাকার ফিডার অন করে বিদ্যুৎ দেওয়া হয়। আর এভাবেই লোডশেডিং এর মাধ্যমে সব জায়গায় সমান ভাবে বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো হয়। লোডশেডিংয়ের প্রয়োজনীয়তা? শুরুতেই বলেছি সরবরাহের তুলনায় বিদ্যুতের চাহিদা যখন অনেক বেশি থাকে তখন নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় লোডশেডিং দিয়ে সেই ঘাটতি পূরণ করা হয়। অর্থাৎ কিছু ক্রেতার কাছে সরবরাহ বন্ধ রেখে চাহিদা কমিয়ে আনা হয় লোডশেডিং এর মাধ্যমে ইলেকট্রিক বিরুদ্ধে বড় বিপর্যয় এড়ানো পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদী বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানে লোডশেডিংয়ের প্রয়োজন বিদ্যুৎ উৎপাদন ও চাহিদার সমন্বয় করতে অনেক সময় লোডশেডিং এর প্রয়োজন হয়।
প্রয়োজন অনুযায়ী লোডশেডিং দেওয়া না হলে বিভিন্ন অঞ্চলে থাকা সাবস্টেশনের পাশাপাশি বিদ্যুৎ সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি পুরো বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে আর সেজন্যই লোডশেডিংয়ের প্রয়োজন। দেশে তুলনায় বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে গেছে দেশে বর্তমানে 152 টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যে গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্রগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় 51 শতাংশ তেলভিত্তিক এইচএসসি ও কেন্দ্রগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় 34 শতাংশ নতুন সিদ্ধান্ত মাহফিল থেকে উৎপাদন না হওয়ায় লোডশেডিং এর পরিণতি ভোগ করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। যেভাবে মিটানো হবে বিদ্যুতের চাহিদা? ডিজেলের বিদ্যুৎ উৎপাদন স্থগিত করে মঙ্গলবার থেকে দেশজুড়ে পরীক্ষামুলকভাবে এলাকাভিত্তিক এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং দেওয়ার কথা জানিয়েছে সরকার। পরবর্তীতে তা দুই ঘণ্টা হতে পারে বলে জানা গেছে। সরকারি-বেসরকারি অফিস ভার্চুয়ালি করারও সিদ্ধান্ত হয়েছে এছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিস এর সময় এক থেকে দুই ঘন্টা কমিয়ে আনার চিন্তা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বলেন আপাতত ডিজেল প্ল্যান্ট গুলো থেকে উৎপাদন বন্ধ রাখতে হবে এর ফলে এক থেকে দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি হবে সেটি পূরণ করা হবে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং এর মাধ্যমে।
তাকে অনেক টাকা সাশ্রয় হবে আর যদি মনে রাখতে হবে যে বিদ্যুতের দাম আকাশচুম্বী হয়ে গিয়েছে এবং সেই রক্ত আমাদের দেওয়ার মতো সামর্থ্য রাখে দোকানপাট সব বন্ধ থাকবে এবং এখানে কেউ যদি খোলা রাখে তার উপরে যদি এসেছে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হচ্ছি আমাদের অফিসের কর্মকর্তা নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন হত কারপুলিং শুরু করব যাতে আমরা তিনজন মিলে একসাথে গাড়িতে আসতে মনে থাকে বা সরকারি অফিসের সময় কিছু কমিয়ে সেখানে আমরা কিছু বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারে। এছাড়া সপ্তাহে একদিন পেট্রল পাম্প বন্ধ রাত আটটার পর শপিং মল বন্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া মসজিদের নামাজের সময় বাদে অন্য সময়ের ব্যবহার সীমিত করা সহ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, পরীক্ষামূলকভাবে সাময়িক সময়ের জন্য এই লোডশেডিং হবে, আগেই সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে। এলাকাভিত্তিক আমরা ঠিক করেছি আগে থেকে জানিয়ে দেবো।
সংশ্লিষ্ট বলছেন আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গ্রিডের সাড়ে 14 হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত চাহিদা হতে পারে সেখান থেকে কতটা কমানো যায় সে চিন্তা করছে সরকার। দেশের মানুষ শাশুড়ি হলে চাহিদা সাড়ে 12 হাজার মেগাওয়াটে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। জ্বালানি সংকটের কারণে এই মুহূর্তে বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে দুই হাজার মেগাওয়াটের মতো বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হলে ঘাটতি 500 মেগাওয়াট এর নামে আনা সম্ভব হবে বলেও জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
দেশে এখন বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা 25 হাজার 566 মেগা ওয়াট এর মধ্যে গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সক্ষমতা 11450 ব্যাকওয়ার্ড বর্তমানে এই কেন্দ্রগুলো থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন এক-তৃতীয়াংশে নেমে এসেছে। আবার ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের জেনে বিশ্ববাজারে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস সিলিন্ডার দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকায় খোলাবাজার থেকে এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত বন্ধ রেখেছে সরকার এলএনজির দামি না কমা পর্যন্ত দেশ থেকেই চাহিদা পূরণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে যে কারণে দেশে গ্যাসের সরবরাহ কমে গেছে গ্যাস সংকটে বেশকিছু গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রাখা হয়েছে এতে সরবরাহ কমায় চলতি মাসে লোডশেডিং শুরু হয় দেশজুড়ে।
Your Code
You have to wait 30 seconds.